অনেকটাই নির্বাচনী কৌশল হিসাবে সারা দেশে বিএনপি একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ২ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসন বিএনপি প্রার্থী শূন্য হয়। একাধিক বিএনপি প্রার্থী দেওয়া না হলে ঐদিন ৮০টি আসনে বিএনপি প্রার্থী শূন্য হতো, এমনটাই অবাক নজির দেখতো এ প্রজন্ম, যা বিগত সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে বিরল। ফলে ২২০ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপি লড়াই হতো। তফশীল ঘোষণার ৬ মাস পূর্ব থেকে নির্বাচনী প্রচারণা, তফশীল ঘোষণার পরও প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনী প্রচারণা এখন আর তেমন খুব একটা নির্বাচনের আচরণ বিধি অনুযায়ী দোষের কিছু নয় মনে করছে ইসি। গত ২ ডিসেম্বর বান্দরবান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৩০০ নং আসনে ৯জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাছাই হয়। বাছাইয়ে একই দলের প্রার্থী সাচিং প্রু জেরী বান্দরবান জেলা বিএনপির সভানেত্রীর মনোনয়ন ফরমে আমার স্বাক্ষর নয় বলে আপত্তি করেন। আপত্তির প্রেক্ষিতে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়। প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষরটি স্বহস্তে করেছি বলে হলফনামা সম্পাদন করেছি। প্রার্থীতা বাতিল হওয়া থেকেই রেহাই পেতেই এরূপ ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস জসীম উদ্দিন তুষার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এইরকম একই দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপত্তি একমাত্র সাচিং প্রু জেরী বান্দরবান আসনে করেছে, অন্য কোন আসনে একই দলের প্রার্থীকে কেউ আপত্তি দিয়ে বিকল্প প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করায়নি। আমরা দলের মহাসচিবের নির্দেশে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছি। আবার কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশেই মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নেব। ধানের শীষ প্রার্থীর বিরোধিতা করব না।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও সাচিং প্রু জেরী, জেলা বিএনপির সাথে পারষ্পারিক যোগাযোগ স্থাপনের কোনরূপ তোয়াক্কাই করছেন না, বলে অভিযোগ করছেন জেলা বিএনপির বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তিনি যদিও ধানের শীষ প্রতীক পেয়েও যান, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সহায়তা/সমর্থন ছাড়াই নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করা আরেক দফা নৌকাকে মাঝ দরিয়া থেকে তীরে ভীড়ানোর চেষ্টা সফল করতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ৮৫৩ ভোটে বিএনপির পরাজয় হয়। এমনটার পূনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেদিকে জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।
Facebook Comments