বিশেষ প্রতিনিধি: মুহাম্মদ আলী:
বান্দরবান নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ১নং নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়নের বড়ছন খোলা ৬নং ওয়ার্ড,ডাকঘর-চাকঢালা এলাকার মোজাম্মেল হক নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে তার পকেটে থাকা নগদ ১৮ হাজার টাকা ছিন্তায় ও তার ব্যবহৃত ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ সিসি মটর সাইকেল চুরি করে এবং তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্যোশ্যে মারধর ও পরে গুম করে ফেলার অভিযোগ করেছেন মোজাম্মেল হক এর স্ত্রী জুহুরা বেগম। মোজাম্মেল হক এর স্ত্রী জহুরা বেগম প্রতিবেদককে জানান, গত ১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৫ ঘটিকায় ১নং অভিযুক্ত হোসেন আলী (৩৩) মোজাম্মেল হক কে বলেন পাওনা টাকা আদায়ের বিষয়ে মোঃ হাসান ও মো: হোসেন উভয় পিতা কাদির হোসেন তাদের বাড়িতে শালিসের আয়োজন করা হয়েছে যথা সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে,মোজাম্মেল হক হোসেন আলীর কথা মত ঐদিন সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে ২নং সাক্ষী ফোরকান আহম্মদ,৩নং সাক্ষী সেলিম উদ্দিন কে সাথে নিয়ে মোজাম্মেল হক এর ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য্য মটর সাইকেল যোগে শালিসের স্থান অভিযুক্ত ২নং মোঃ হাসান ও অভিযুক্ত ৩নংমো: হোসেন এর বসত ঘরের দিকে রওনা করে শালিসের স্থান বসত ঘওে পৌছা মাত্রই ১নং অভিযুক্ত ব্যাক্তি হোসেন আলী হুমকি দিয়ে বলে তোর এত বিচার করতে হয় কেন? উপরোক্ত ২ ও ৩ নং অভিযুুুুুুুুুুক্তদের পাওনা আদায় করতেছিস না কেন ? এই কথা বলিয়া অভিযোগ কারীনির স্বামী মোজাম্মল হক কে গাছের সাথে বাধিয়া ফেলতে ১নং অভিযুক্ত হোসেন আলী ৪নং অভিযোক্ত মো: সাহাজাহান ও ৫নং অভিযোক্ত আব্দুল আজিজ কে নির্দেশ প্রদান করিলে তারা মোজাম্মেল হক কে উঠানের এক পাশে থাকা সেগুন গাছের সাথে বাধিয়া ফেলিলে সকল আসমীগন একত্রে মোজাম্মেল হক কে মারিতে মারিতে অজ্ঞান করিয়া ফেলে। একপর্যায়ে উপরোক্ত অভিযুুক্তগন প্রাণে হত্যার উদ্যোশ্যে আরো বেশী মারধর করিতে করিতে মোজাম্মেল হক কে রক্তাক্ত করিয়া তাহার পড়নের শার্ট ও লুঙ্গি সহ কাপড় চোপড় খুলিয়া মাটিতে ফেলিয়া রাখে এবং মোজাম্মেল হক এর সাথে থাকা সাক্ষীদেরকে দ্রুত ঘঁনাস্থ থেকে চলিয়া যাইতে বলিলে সাক্ষীগন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ঘনাস্থল ত্যাগ করে। সাক্ষীগন এই ঘটনার বিষয়ে মোজাম্মেল হক এর স্ত্রীকে জানালে মোজাম্মেল এর স্ত্রী উপরোক্ত অভিযোক্তদেও বসত গৃহে তথা ঘঠনাস্থলে গেলে সেখানে মোজাম্মেল হক এর রক্ত মাখা লুঙ্গি ও শার্ট দেখিতে পাইয়া তার স্বামী কোথায় জিজ্ঞাস করিলে ৬নং অভিযোক্ত সাবেকুন নাহার পিতা-কাদির হোসেন ও ৭নং অভিযোক্ত ফরিদা বেগম স্বামী কাদির হোসেন মোজাম্মেল হক এর স্ত্রী কে জানায় পাওনা টাকা আদায় করতে না পারিয়া পরনের কাপড় বন্ধক দিয়া পাওনা টাকা সংগ্রহ করিতে গিয়াছে,দুই একদিরে মধ্যে হইত ফিরে আসিবে। ঘটনার দই/তিন দিন পার হয়ে যারবার পর অভিযোগ কারনীনি স্বামীর কোন খোঁজ না পেয়ে নিরুপাই হয়ে ১৬/০১/২০১৯ ইং তারিখে ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষংছড়ি থানায় যোগাযোগ করিলে থানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযোগকারীনিকে আশ্বস্থ করলেও ঘটনার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিগত ২১/০১/২০১৯ ইং তারিখ থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারীনিকে বিজ্ঞ আদালতে আশ্রয় গ্রহনের পরামর্শ দেন। তারাই পরিপেক্ষিতে মোজাম্মেল হক এর স্ত্রী জুহুরা বেগম ন্যায় বিচারের সার্থে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমুলে নিয়ে মামলাটি তদন্ত করিতে নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কে আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করেন। তারই পরিপেক্ষিতে মামলাটি নাইক্ষংছড়ি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো: রাজি হোসেন তদন্তের দায়িত্ব ভার দেন। কিন্তুু বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে রহস্যজনক ভাবে সাব-ইন্সপেক্টর মো: রাজি হোসেন আসমীদের সাথে আতাত করে,ও আসামীদের কাছ থেতে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে অপহরণ হওয়া মোজাম্মেল হক কে উদ্ধার করার কোন চেস্টা ও আসামীদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা সহ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মোজাম্মেল হক এর স্ত্রী জুহুরা বেগম,স্ত্রীর ভাই মো: শহিদুল ইসলাম,পিতা- আব্দুর রহমান,সাং-বড়ছন খোলা,নাইক্ষংছড়ি,বান্দরবান। মোজাম্মেল হক এর ভাই মো: আলী হোসেন(৩৯) পিতা মৃত: আমীর জামান, চিতামুড়া পুর্ব নাহালিয়া,থানা-লোহাগাড়া,জেলা চট্টগ্রাম। এমতাবস্থায় বিষয়টি আরো অতি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে মোজাম্মেল হক কে উদ্ধার করা, মোজাম্মেল হক এর পকেটে থাকা নগদ ১৮হাজার টাকা ও তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে এবং মোজাম্মেল হক কে যারা হত্যার উদ্যোশে মারধর করেছে, অপহরণ ও গুম করেছে ১নং আসামী হোসেন আলী ও তার সহযোগিদের যথাযত ভাবে শাস্তি প্রদানে আইন ও বিচার বিভাগ,প্রশাসন বিভাগ,মানবাধিকার কমিশন,সুশিল সমাজের নাগরিকগণ,উচ্চ পদস্থ নেত্রীবৃন্দ সহ সকলের নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য এক অসহায় হতভাগ্য স্ত্রীর আকুল আবেদন জানাচ্ছি। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে যথাযত ভাবে বিচার করা হলে আগামীতে সমাজে অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যার উদ্যোশ্যে মারধর,অপহরণ,গুম করার সাহস পাবে না,সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে না, সমাজে ও দেশে আইনের সু-শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।