শহীদুল ইসলাম: বান্দরবান প্রতিনিধি:
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উন্নতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পুর্ণিমা ও মাহাঃ ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উপলক্ষ্যে বান্দরবান সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষ, কলেজ প্রাঙ্গনে এক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল বিকাল তিন টার পর, প্রধান অতিথির আগমনের মধ্যে দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠান ও আলোচনা আরম্ভ হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির সহধর্মীনি মেহ্লা প্রু মার্মা, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, জেলা পরিষদের সদস্য সিং অং ম্রো, জেলা পরিষদের সদস্য তিং তিং ম্যা, উচিং হাই রবিন বাহাদুর, সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর মো: মকছুদুল আমিন। এছাড়াও কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষু উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত থাকেন এবং সূত্র পাঠসহ উপস্থিত দায়ক-দায়িকা ও অনুষ্টান আয়োজকদের আর্শীবাদ প্রদান করেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির সহধর্মীনি মেহ্লা প্রæ মার্মা বলেন- প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও স্বাড়ম্বরে ‘ছংরাসিহ্ ওয়াগ্যোয়াই লাহ্ রাথা পোয়েঃ লাগাইমে”’ (সবাই মিলে মিশে রথ যাত্রায় যাই) এ বিশেষ মারমা গান পরিবেশনের মাধ্যমে রথযাত্রা শুরু হবে মাহাঃ ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পুর্ণিমা অনুষ্টান। আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তিন মাস ধর্মীয় কাজ (বর্ষা বাস) শেষে ও শীল পালনকারীরা প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে বিহার থেকে নিজ নিজ সংসারে ফিরে যান। এ কারণেই এ বিশেষ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ভিক্ষুসংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এছাড়াও সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মো: মকছুদুল আমিন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির সম্প্রীতির বান্দরবানের প্রশংসা ও অনুষ্টান আয়োজনে সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।