রেকর্ডটা যা হচ্ছে, সেটা অবধারিতই ছিল। যে দল টানা ৬১ ম্যাচ গোল করেছে, তারা নিজেদের মাঠে গোল পাবে না, এটা তো হয় না! ৬২তম ম্যাচেও গোল পেল রিয়াল মাদ্রিদ। সঙ্গে জয় তো আছেই! সেভিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে বড় এক বাধা পেরোল রিয়াল।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে টানা গোলের রেকর্ডটি এত দিন ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। ইয়ুপ হেইঙ্কেসের ট্রেবল জয়ী বায়ার্ন দল পেপ গার্দিওলার অধীনেও গোলবন্যা বইয়ে টানা ৬১ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে। সে রেকর্ডটা কাল দুইয়ে চলে গেল জিনেদিন জিদানের দলের কাছে।
রেকর্ডটা রিয়ালের হচ্ছে, সেটা অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে অদ্ভুতভাবে। ১০ মিনিটে সেভিয়া ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন মার্কো এসেনসিও। সেভিয়া ডিফেন্ডারদের নজর যখন ওই দিকে, ঠিক তখন হাজির হলেন নাচো। সবাইকে চমকে দিয়ে ফ্রি কিক নিলেন এই ডিফেন্ডার। বাঁকানো সে শট সবাইকে হতভম্ব করে গোল। সেভিয়া ডিফেন্ডারদের অরতিবাদ কোনো কাজেই আসেনি। কারণ, রেফারি যে শট নেওয়ার অনুমতি দিয়েই রেখেছিলেন। কিন্তু কে ভেবেছিল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, হামেস রদ্রিগেজদের দলে থাকা এক ডিফেন্ডার নিজে থেকেই শট নিয়ে নেবেন!
রোনালদ অবশ্য গোল পেতে খুব বেশি দেরি করেননি। ১৩ মিনিট পরেই দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছেন।
এরপর সেভিয়া ম্যাচে ফেরার অনেক চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধে স্তেভান ইয়োভেতিচ একাই চার গোল করতে পারতেন। একবার গোলপোস্ট, আর অন্য দুবার কেইলর নাভাস গোলবঞ্চিত করেছেন এই ফরোয়ার্ডকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর তাঁকে আটকাতে পারেননি নাভাস। ৪৯ মিনিটে ইয়োভেতিচের গোলে প্রাণ ফেরে ম্যাচে। কারণ, কাসেমিরোকে বসিয়ে রাখায় রিয়াল রক্ষণটা বারবারই আলগা হয়ে যাচ্ছিল। জিদান নিজেও সে ভুল বুঝতে পেরে ম্যাচের ৬০ মিনিটে বদলি হিসেবে ডেকে আনেন কাসেমিরোকে। দলের ফরমেশনও ৪-৪-২ থেকে পছন্দের ৪-৩-৩–এ পরিবর্তন করেন।
লুকাস ভাসকেজ ও লুকা মডরিচকে নামিয়ে বাকি কাজটা শেষ করেছেন জিদান। দুই উইং ব্যবহার করে বারবার আক্রমণে উঠেছে রিয়াল। ৭৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে রোনালদোও নিশ্চিত করেছেন এ ম্যাচের বিজয়ী স্বাগতিক দলই হচ্ছে।
আর ৮৩ মিনিটে নাচোর পাস থেকে টনি ক্রুসের গোলটায় এ মৌসুমে বার্নাব্যুর শেষ ম্যাচটা রূপ নিল উৎসবে।